করোনাভাইরাস ছড়ানোর অভিযোগ এনে ভারতে আটক ২৬৫ জন বাংলাদেশি তাবলিগ জামাত কর্মীর মধ্যে ১৪ জনকে ৪০ দিন কারাভোগ শেষে ফেরত দিয়েছে ভারতীয় পুলিশ। ছাড়া পেয়ে তারা বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে ফিরে এসেছেন। তবে তাদের শরীরে করোনাভাইরাস থাকতে পারে- এমন সন্দেহে ১৪ দিনের জন্য যশোরের গাজীর দরগা প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার রাত ১১টায় ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ তাদেরকে পাসপোর্টের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের হাতে তুলে দেয়। ফেরত আসাদের বাড়ি বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায়।
জানা যায়, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাবলিগ জামাতের ২৬৫ জন সদস্য পাসপোর্ট যোগে ভারতে যান। এসময় ভারতে করোনা সংক্রমণ দেখা দেয়। এ সময় তাবলিগের বিরুদ্ধে করোনা সংক্রমণের অভিযোগ আসে। পরে পুলিশ তাদের আটক করে উত্তর প্রদেশ সেন্ট্রাল জেলে পাঠায়। এদেরকে ছাড়িয়ে আনতে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা হয়। অবশেষে দীর্ঘ ৪০ দিন কারাভোগ শেষে ১৪ জন ছাড়া পেয়ে দেশে ফিরে আসলেন।
বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহাসিন খান জানান, ফেরত আসা তাবলিগ সদস্যরা করোনা আক্রান্ত কিনা তা পরীক্ষার জন্য ইমিগ্রেশন মেডিকেল অফিসে পাঠানো হয়। সেখানে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে তারা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার হাবিবুর রহমান দৈনিক সময় সংবাদকে জানান, ফেরত আসা তাবলিগ কর্মীদের প্রাথমিক শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে। যেহেতু তারা দীর্ঘদিন ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে গণজামায়াতে অংশ নিয়েছেন, জেলেও থেকেছেন তাই তারা করোনাভাইরাস বহন করছেন কিনা কিছুটা সন্দেহ রয়েছে। তাদের ১৪ দিনের জন্য সরকারি তত্ত্বাবধানে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। শঙ্কা মুক্ত হলে ১৪ দিন পর কর্তৃপক্ষ পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
Leave a Reply